মেয়েটাকে সেই প্রথম যেদিন দেখছিলাম,সেইদিন থেকে আমি ওর প্রেমে পড়ে গেলাম। মেয়েটাকে দেখলে বুকের ভিতর কেমন জানি করতো। প্রায় প্রতিদিন আইমানকে দেখার জন্য ভার্সিটিতে আসতাম।
অনেকদিন এভাবে চলে যায়। আমার মনে জমানো সেই কথা গুলো আইমানকে বলা হয়নি। একদিন ঠিক করেই ফেললাম, এইদিন আইমানকে আমার মনের কথা জানাবো। ভয়ে ভয়ে আইমানর সামনে গিয়ে দাড়ালাম। বুক ধকধক করছে। অনেক ভয়ে ভয়ে বলেই ফেললাম।
জানা মতে আমার সাথে আপনার কোনো জরুরি কথা নেই।(আইমান)
প্লিজ একটু শোনবেন কি? (আমি)
আচ্ছা, যা বলার বলেই দিন। (আইমান)
আমি আপনাকে ভালোবাসি অনেকদিন থেকে, কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি।( আমি)
হা হা হা এই কথা, কেন আমাকে ভয় পেতে?(আইমান)
হ্যাঁ এইকথা, আর আপনাকে ভয় পেতাম অনেক ছেলেকে আপনি বকা দিতেন আমি দূর থেকে দেখতাম, সেই ভয়ে বলিনি।( আমি)
আচ্ছা ভেবে দেখবো এখন চললাম।(আইমান)
পরেরদিন ভার্সিটির একটি গাছের নিছে বসে আছি। আইমান কখন আসবে অপেক্ষা করছি। এই তো দেখতে পাচ্ছি আইমান আসছে। খুব সুন্দর লাগছে আইমানকে। আমি সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
কি ভাবা হয়েছে? ( আমি)
হয়েছে।( আইমান)
বলে দাউ। (আমি)
দেখেন আমি মধ্য বিত্ত পরিবারের মেয়ে। মা বাবার সপ্ন পুরন করতে হবে আমাকে। আমি এখন এইসব নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে চাইনা। আমার মা বাবা অনেক কস্ট করে আমাকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। আমি ওনাদের সপ্ন নস্ট করতে চাইনা। এইসবে নিজেকে জড়ালে অনেক চিন্তা ভাবনা থাকবে। আর সেই চিন্তায় আমার পড়ালেখার ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনাকে এটা বলি, এইসব আমার পক্ষে সম্ভব না। (আইমান)
আচ্ছা চললাম।( আমি)
ভাবলাম কিছুই বলার নেই আমার। তাই প্রথমে ওর লেখাপড়া ভালোভাবে হতে হবে। মনে মনে ভাবলাম আজ থেকে ওর লেখাপড়ার খরচ আমি চালাবো। আইমানর মা বাবার সাথে কথা বললাম। ওনারাও রাজি হয়েই যান। প্রত্যেক মাসে আমি টাকা দেই। আইমান এভাবে প্রত্যেক মাসে মাসে ওর সব কিছুর খরচ সঠিক সময়ে চালানো দেখে অভাক হয়ে যায়।
তোমরা মাস শেষ হওয়ার আগে অনেন চিন্তিত থাকতে আমার সব কিছুর খরচ নিয়ে। কিন্তু এখন কোনো চিন্তা করোনা, মাস শেষ হওয়ার সাথে আমার সব কিছুর বেতন দেওয়া হয়ে যায়। (আইমান)
আমি বেতন একটু আগে পেয়ে যাই। (আইমানর বাবা)
এখন আমাদের পরিবার অনেক ভালো চলছে, তোমার মালিক একটু বেতনের টাকা বাড়িয়েছে কি?(আইমান)
না, তবে বাড়াবে।( আইমানর বাবা)
পড়ালেখা করে আইমান একদিন প্রতিস্টিত হয়। সে এখন তার নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিজে বহন করতে পারবে। সে এখন প্রতিস্টিত একজন মেয়ে।
একদিন আইমানর বাবা মা আইমানকে বললেন। আইমান তোমার জন্য পাএ দেখা শেষ। আইমান কোনো কিছু বলেনা। আবার আইমানর মা বললেন ছেলেটাকে কাল আমাদের বাড়িতে আসার জন্য বলবো।
আমাকে আইমানর বাবা ফোন দিয়ে বলে দেন। কাল আমি যেন ওনাদের বাড়িতে যাব। রাত কাঠিয়ে সকাল হয়ে যায়। আমি রেডি হয়ে বের হয়েছি আইমানদের বাড়ি যাব। অনেক যায়গা চলে আসছি নিজের বাইকে ড্রাইভ করে। মনের ভিতর অন্য রকম অনুভুতি বইছে। অনেকদিন পর আইমানর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। আইমানদের বাড়ি থেকে একটু দূরে রাস্তায় এস্কিডেন্ট করি।
আমাকে দেখে অবাক হয়ে যায়।
তুমি, আর আমাদের বাড়িতে কেন?(আইমান)
হা আমি।( আমি)
হটাৎ আইমানর বাবা মা এসে বললেন এই সেই ছেলে। যাকে আমরা পছন্দ করে রেখেছি। আইমান বলতে লাগলো বাবা তোমার সব কথা শোনে আসছি। কিন্তু আজ শোনবো না। আর এই ছেলের সাথে আমি কখনো সংসার করবোনা। সে তো আমার যোগ্য না।
আইমানর বাবা বলতে লাগলেন। বাহ বাহ তুই থাকে ঘৃণা করবে যে তোর সব সময় খেয়াল রেখেছে। তুই থাকে অযোগ্য বলবে যে তোকে যোগ্যতায় নিয়ে এসেছে। তুই থাকে অযোগ্য বলছিস যে তোর পড়ালেখার সব খরছ চালিয়েছে ও তোর পরিবারের সব সময় পাশে ছিলো।
আইমান আমার দিকে চেয়ে কান্না করছে ও বলছে সরি আমাকে ক্ষমা করে দাউ। তোমাকে অনেক বাজে কথা শোনিয়েছি।
সেই সময় আইমানর বাবা মা রুম থেকে চলে যায়। টান দিয়ে বুকের ভিতর নিলাম। আমি বলতে লাগলাম পাগলি শোন তোকে অনেক ভালোবাসি। তাই যেদিন বলছিলে আমাকে সব কথা। তখন আমি তোর সপ্ন পুরন হওয়ার জন্য অনেক কিছু করেছি।
একমাএ তোকে অনেক ভালোবাসি বলে। অনেক অনেক ভালোবাসিরে পাগলী তোকে। আমিও অনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে। কয়েকদিন পর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। আমার লক্ষী বউটাকে নিয়ে অনেক সুখে আছি।